দিঘলিয়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২ ডাকাত ও ২ সন্ত্রাসী আটক। Kabir Kabir Uddin প্রকাশিত: ৪:১৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০২৫ ওয়াহিদ মুরাদ, বিশেষ প্রতিনিধি। খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যৌথ বাহিনী নিয়মিত কাজ করে চলেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১ আগষ্ট রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কন্টিনজেন্ট কমান্ডার দিঘলিয়া, লেঃ কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খাঁন, (ই), বিপিএম-সেবা, বিএন এবং ওসি দিঘলিয়া থানা, এইচ এম শাহীন এর নেতৃত্বে নৌবাহিনী এবং পুলিশ সদস্যের সমন্বয়ে দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের অন্তর্গত আদর্শপল্লী বাইদা পাড়া এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। যৌথবাহিনী প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, উক্ত অভিযানে ডাকাত চক্রের ০২ জন সদস্য জামাই আল-আমিন, পিতাঃ সেলিম হোসেন এবং মোঃ ফয়সাল, পিতাঃ উজির আলী কে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দস্যুতার কাজে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার ০১টি এবং ০১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আটককৃত ডাকাত সদস্যদের নামে থানায় একাধিক ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি, অপহরণ এবং মাদক মামলা এবং লিখিত অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে, পূণঃরায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গভীর রাত পর্যন্ত একই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী কানা শান্ত, পিতাঃ মুরাদ হোসেন এবং তার সহযোগী সাজ্জাদ গাজি, পিতাঃ শাহীন গাজি কে তাদের বাড়ি তল্লাশি করে আটক করা হয়। আটকৃত সন্ত্রাসীদের নামে থানায় একাধিক খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং মাদক মামলাসহ লিখিত অভিযোগ রয়েছে। বর্ণিত ডাকাত দলের সদস্যগণ গত ০১ আগস্ট ২০২৫ তারিখ সকাল ৫টা ২০ ঘটিকায় মোঃ বক্কার হোসেন (ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরীরত) গ্রামঃ সেনহাটি আদর্শ পল্লী এর বাড়িতে সশস্ত্র অবস্থায় ঘরে ঢুকে ডাকাতি করে ঘরে থাকা আলমারি ভেঙে হাতের রিং (আংটি) ০১টি, কানের দুল ০২টি, পায়ের নুপুর ০৩টি, নাকফুল ০১টি এবং সাথে থাকা মোবাইল ০২টি নিয়ে চলে গিয়েছিল। উল্লেখ্য, উক্ত ডাকাতি ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত আরো ০২ জন সদস্য মোঃ যুবরাজ, পিতাঃ সোহাগ হোসেন এবং মোঃ সাকিব হোসেন পলাতক রয়েছে। বর্ণিত যৌথ অভিযানে পুলিশ এবং নৌবাহিনী কর্তৃক সন্ত্রাসীদের আটক করায় এলাকাবাসী যৌথ বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং স্বস্তি প্রকাশ করছেন । অভিযান শেষে ওসি দিঘলিয়া থানা, এইচ এম শাহীন বলেন দেশের স্বার্থে যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে। SHARES অপরাধ বিষয়: