খুলনায় বিএনপি নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ, হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে জখম


বটিয়াঘাটা(খুলনা)প্রতিনিধি:
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ওহিদুল ইসলাম বাদল হাওলাদারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী বাদল হাওলাদার জানান, গত ২৯ জুলাই ২০২৫ (সোমবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তিনি সমিতির কালেকশন শেষে দারোগা ভিটা এলাকায় ফেরার পথে এ হামলার শিকার হন।
বাদল অভিযোগ করে বলেন, ফেরার পথে ১নং জলমা ইউনিয়ন বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আসাবুর হাওলাদারের অফিসের সামনে গেলে তিনি তাকে ডাক দিয়ে গতি রোধ করেন। এরপর সংঘবদ্ধভাবে অতর্কিতে তার ওপর হামলা চালানো হয়।
আরো পড়ুনখুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের বেহাল অবস্থা: সংস্কারের দাবিতে খুলনা নাগরিক সমাজের স্মারকলিপি পেশ
হামলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বটিয়াঘাটা উপজেলা যুবদলের প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক (মৃত গনি হাওলাদারের পুত্র) আজমল হোসেন লিটন, যুবদল সদস্য বাপ্পি জমাদ্দার (দারোগা ভিটা), সাদ্দাম হাওলাদার (তেঁতুলতলা), রাকিব শিকদার (জয়নাল শিকদারের পুত্র), আজমিরসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জন। তারা চাইনিজ কুড়াল ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
স্থানীয়রা আহত অবস্থায় বাদল হাওলাদারকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বাদল হাওলাদারের দাবি, তিনি খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আমির এজাজ খানের সমর্থনে ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট দিয়েছেন এবং জলমা ইউনিয়নে ওয়ার্ডভিত্তিক পকেট কমিটি গঠন করেছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
আরো পড়ুন সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
তিনি আরও অভিযোগ করেন, আসাবুর হাওলাদার ও তার ভাইয়েরা রাইঙ্গেমারী মৌজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখলসহ বিভিন্ন জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন। সেই সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ও জড়িত রয়েছেন তারা। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা ও অন্যান্য অভিযোগ রয়েছে, যার কারণে তারা আগের জেলা ও থানা কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পাননি।
বাদল দাবি করেন, এজাজ খানকে দলীয়ভাবে দোষারোপ করেই এই সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। তিনি প্রশাসনের কাছে দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। সেই সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে এই দখলবাজ ও সন্ত্রাসীদের দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, এখনও পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি, তবে তদন্ত চলছে।