নাগরপুরে বিয়ের প্রলোভনে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণ: ধর্ষক গ্রেফতার দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ৫:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২৫ জহির আহাম্মেদ, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের এক স্কুল ছাত্রী (১৪) কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে স্থানীয় একজন। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানা জানি হলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। অবশেষে পুলিশ ধর্ষক মো. ফরহাদ খান (৫৫) কে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১টার দিকে নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষিতা নাগরপুর উপজেলার মেহের আলী খান স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। নাগরপুর উপজেলার বাবর আলী খানের মেয়ে। মামলা ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউপির পচাসারুটিয়া গ্রামের মোঃ বাবর আলী খান (৪১) থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন যে, বাবর আলী খানের মেয়ে পচাসারুটিয়া মেহের আলী খান স্কুল এন্ড কলেজে ৮ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। প্রতিবেশী মোঃ ফরহাদ খান (৫৫) স্কুল ছাত্রীর বাবা বাবর আলী খানের অনুপস্থিতে বাড়িতে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত ২০২৪ সালের (১৪ নভেম্বর) দুপুর অনুমান ২ টার দিকে তাকে ধর্ষণ করে। এর পর থেকে সুযোগ পেলেই স্কুল ছাত্রীর সাথে শারিরিক সম্পর্কে মিলিত হতো। এক পর্যয়ে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গর্ভবতীর বিষয়টি ফরহাদ খানকে জানায় এবং বিয়ের জন্য চাপ দেয় স্কুল ছাত্রী। এর পর থেকেই এড়িয়ে চলতে থাকে ধর্ষক। উপায়ুন্তর না পেয়ে মেয়েটি তার দাদী বিমলাকে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। পরে মেয়েটির বাবা বাবর আলী নাগরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে ধর্ষক ফরহাদ আত্মগোপনে ছিলেন। এ দিকে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে নিশ্চিত হয়ে মঙ্গলবার মধ্যরাতে পচাসারুটিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযানে ধর্ষক ফরহাদ খান কে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ধর্ষক ফরহাদ খান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবান বন্দি দিয়েছে। ধর্ষিতার ডাক্তারি পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সে ৮ মাসের গর্ভবতী। SHARES অপরাধ বিষয়: