প্রবাসীদের ভোটের অধিকারের দাবিতে এনসিপি মালয়েশিয়ার সংবাদ সম্মেলন।

প্রকাশিত: ৩:০১ অপরাহ্ণ, জুন ২২, ২০২৫

মো:নুরুল ইসলাম সুজন, মালয়েশিয়া থেকেঃ

প্রবাসীরা শুধু অর্থনীতির জন্যই নয়, দেশের গণতন্ত্র ও ভবিষ্যতের জন্যও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অথচ তারা এখনো জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এটি এক নির্মম বৈষম্য।

ভোটাধিকার কোনো অনুগ্রহ নয়, এটি জন্মগত ও সাংবিধানিক অধিকার’- স্লোগানকে সামনে রেখে ভিআইপি লাউঞ্জ নয়, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে এনসিপি।

শনিবার সন্ধ্যায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে বুকিত বিনতাং-এ এনসিপি ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স মালয়েশিয়া আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন এনসিপি সেন্ট্রাল ডায়াসপোরা অ্যালায়েন্স-এর কেন্দ্রীয় সদস্য এনামুল হক। সঞ্চালনা করেন এনসিপি সেন্ট্রাল ডায়াসপোরা অ্যালায়েন্স-এর কেন্দ্রীয় সদস্য আলমগীর চৌধুরী আকাশ।

বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা শুধু অর্থনীতির জন্যই নয়, দেশের গণতন্ত্র ও ভবিষ্যতের জন্যও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। অথচ তারা এখনো জাতীয় নির্বাচনে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এটি এক নির্মম বৈষম্য।’

প্রায় ২০ লাখ মালয়েশিয়াবাসী প্রবাসীসহ বিশ্বের প্রায় দুই কোটিরও বেশি বাংলাদেশী নাগরিক দেশের বাইরে বসবাস করছেন। এ বিশাল জনগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি সচল রাখলেও, তারা আজও রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত।

সংবাদ সম্মেলনে এনপিপির দাবি

১. প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটাধিকার আইন ও সংবিধানে সুরক্ষিত করতে হবে।

২. নির্বাচন কমিশন ও সরকারকে একটি স্বচ্ছ ও সময়সীমাবদ্ধ রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে।

৩. বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত দূতাবাসে ভোটকেন্দ্র চালুর পাশাপাশি, জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের ভিত্তিতে একটি নিরাপদ ও নিরপেক্ষ অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে, যাতে কোনো পক্ষপাত বা কারসাজির সুযোগ না থাকে।

৪. প্রবাসীদের জন্য একটি বিশেষ ‘ভোটার তালিকা’ তৈরি করতে হবে, যাতে বিদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের তথ্য সুনির্দিষ্টভাবে সংরক্ষিত ও যাচাইযোগ্য হয়।

৫. প্রবাসী ভোটারদের সচেতনতা বাড়াতে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর প্রচারাভিযান চালাতে হবে, যার নেতৃত্বে থাকবে সরকার ও কূটনৈতিক মিশনসমূহ। ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসী ভোটাধিকার অবশ্যম্ভাবীভাবে নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে অনলাইন ভোটিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।