চরভদ্রাসনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত। দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ৯:৪৩ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২৫ স্টাফ রিপোর্টার ফরিদপুরঃ ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে আজ বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। ১৯৮১ সালের এইদিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সৈনিকের হাতে তিনি শাহাদাতবরণ করেন। প্রয়াত প্রেসিডেন্টের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ আজ শুক্রবার বিভিন্ন মসজিদে জুমার নামাজের পর মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে এবং বিকেলে উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সেক্রেটারী আব্দুল কুদ্দুস বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ সরোয়ার হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন, গাজিটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রামানিক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুল কুদ্দুস বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নাম জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তিনি। এরপরই শুরু হয় মুক্তির সংগ্রাম। জেড ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে নিজেও ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধের পর নানা ঘাত পেরিয়ে দায়িত্ব পান রাষ্ট্র পরিচালনার। দায়িত্ব পালনের সংক্ষিপ্ত সময়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীকে। নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন একজন বিশ্বনেতা হিসেবে। ১৯৫৩ সালে তিনি যোগ দেন তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার হিসেবে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দায়িত্ব পালন করেন মুক্তিযুদ্ধের একটি স্বতন্ত্র সেক্টরের। তার নামে গড়ে ওঠে জেড ফোর্স। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ২৫ আগস্ট তিনি সেনাবাহিনী প্রধান নিযুক্ত হন। ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৬ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। এরপর জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ২১শে এপ্রিল প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন। তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল। ১৯৮১ সালের ৩০শে মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিপথগামী একদল সেনা সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শাহাদাত করণ করেন তিনি। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনকালে জিয়াউর রহমান তুমুল জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। তার হাত ধরেই দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু করে। খালকাটা কর্মসূচি ছিল তার এক যুগান্তকারী উদ্যোগ। ১৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে তিনি দেশ গড়ার যে বৈপ্লবিক ধারার সূচনা করেছিলেন তা থেমে যায় ১৯৮১ সালের ৩০শে মে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোঃ সরোয়ার হোসেন জিয়াউর রহমানের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, শহীদ জিয়ার মহান আদর্শ, দর্শন ও কর্মসূচি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুসংহতকরণ, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং দেশীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির রক্ষাকবচ। জাতীয় জীবনের সকল সংকট, সংগ্রাম ও বিনির্মাণে শহীদ জিয়ার প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ বুকে ধারণ করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থ, বহুমাত্রিক গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার সুরক্ষায় ইস্পাতকঠিন গণঐক্য গড়ে তুলতে হবে। SHARES সারাদেশ বিষয়: