জয়পুরহাটে ছাত্রদল নেতা পিয়াল হত্যা: ভাবি-দেবরসহ গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত: ৪:৫৭ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২৫

জয়পুরহাট প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটে পূর্বশত্রুতার জেরে ছাত্রদল নেতা বিপ্লব আহমেদ পিয়ালকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ভাবি-দেবরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে জয়পুরহাট ও নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন জয়পুরহাট শহরের ইসলামনগরের রুবেল ওরফে রুমেল হোসেনের স্ত্রী নাসরিন (২৯), একই এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী শ্রাবণী আক্তার (২৪) এবং সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের দক্ষিণ কোচকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছামছুদ্দীন মন্ডলের ছেলে রাসেল (৩৫)। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাসরিন ও রাসেল সম্পর্কে ভাবি-দেবর।

নিহত পিয়াল ইসলামনগরের মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়ার ছেলে ও শহর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ‘বাইক ওয়াশ’ নামে একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজের মালিক ছিলেন।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, গত বুধবার (২৮ মে) দুপুরে পিয়ালের গ্যারেজের সামনে ওত পেতে থাকা একদল দুষ্কৃতিকারী প্রথমে তাকে গালিগালাজ করে, পরে প্রতিবাদ করলে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। পিয়াল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তারা তাকে ধাওয়া করে বাড়ির গেটের সামনে ধরে ফেলে এবং ধারালো বারমিজ ছুরি দিয়ে তার পেটে, বুকে ও পিঠে একাধিক আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হন পিয়াল। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের মা ইতি বেগম জয়পুরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শহরের ইসলামনগরের সরকারি জমি লিজ নিয়ে দোকান নির্মাণ করেছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্রদল নেতা পিয়াল ওই জমির দখল নেন। এরপর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। গত ১২ মার্চ পিয়ালের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে, যার মামলা হয় সান্তাহার জিআরপি থানায়। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হন আনোয়ারসহ কয়েকজন, তবে বর্তমানে শুধু আনোয়ার কারাগারে রয়েছেন।

জয়পুরহাট থানার ওসি নুর আলম সিদ্দিক জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকি অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।