ঘাটাইল উপজেলা প্রতিনিধিঃ 

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের পাড়া কুশারিয়া থেকে সংগ্রামপুর ইউনিয়নের নলমা পর্যন্ত মাত্র তিন কিলোমিটার রাস্তা। দুই ইউনিয়নের হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি এখন সবার গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দে ভরা রাস্তায় কয়েক বছর আগেই বন্ধ হয়েছে গাড়ি চলাচল। এখন মানুষের পক্ষে হেঁটে চলা দায়। কাদা বর্ষার সময় রাস্তার গর্তে পানি থাকে সব সময় । বছরের পর বছর মানুষ দুর্ভোগ নিয়ে চললেও দেখার কেউ নেই। আবেদন করলেও সংস্কারে সাড়া দেয় না কর্তৃপক্ষ।

এই রাস্তাটি হলে ঘাটাইল উপজেলা থেকে সংগ্রামপুর ইউনিয়নের দুরত্ব কমে যাবে অর্ধেকের কম ।

উপজেলার এই রাস্তাটির দিয়েই ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী হাটে যাতায়াত করে কয়েকটি গ্রামের মানুষ। রাস্তাটির পাশেই মাদ্রাসা এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান। গ্রামের শিশুরা এই কাঁচা রাস্তা দিয়ে স্কুলে ঠিক মতন যাতায়াত করতে পারে না।

গ্রামের বাসিন্দারা এ রাস্তা দিয়েই যান উপজেলায়। কেউ অসুস্থ হলে তাকে নিতে হয় হাসপাতালে। প্রতিদিন দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। বর্ষায় কেউই চলাচল করতে চায় না। দ্বিগুণ-তিন গুণ ভাড়ায় অটোরিকশাসহ যেসব যান চলাচলের চেষ্টা করে, সেগুলোর ইঞ্জিন প্রায়ই বিগড়ে যায় কিংবা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ফলে দুই-তিন কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হয় সবাইকে।

স্থানীয় ফারুক আহমেদ জানান, পাড়া কুশারিয়া এবং নলমা গ্রাম মানুষের বহুদিনের সপ্ন এই রাস্তাটি কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি নির্বাচনের সময় আশ্বাস দিয়ে থাকলেও গ্রামবাসী এই দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষায় রাস্তা আমাদের কাছে স্বপ্নই রয়ে গেছে ।

দুই ইউনিয়নের স্থানীয় গ্রামবাসী জানান গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ার পেছনে দায়ী কর্তৃপক্ষের অবহেলা। সড়কটি চলাচলের উপযোগী হলে শুধু এ দুই ইউনিয়ন নয়; আশপাশের অনেক মানুষের উপকার হতো।

ঘাটাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান ,

ঘাটাইল উপজেলার অনেক রাস্তা এখনো সংস্কার এবং নতুন করে পাকা রাস্তা কাজ চলমান রয়েছে। যে রাস্তা গুলো এখনো পাকা রাস্তা হয়নি সেগুলো ঘাটাইল উপজেলা প্রশাসনের নিকট আবেদন করলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।