ফাহিম শাহরিয়ার কৌশিক।।  কারে উঠিয়ে লক্ষ টাকার সহ মোটরসাইকেল ছিনতাই সিসি ক্যামেরা ফুটেছে ধরা পড়লো

অপরাধ জগতের হোতারা ডিবি পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষদের তুলে নিয়ে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে। সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে বিচারের দাবিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগীরা।
তেমনি একটি ঘটনা ঘটলো চাঁদপুর পেন্নাই সড়কের কালি ভাংতি ব্রিজের কাছে ফল ব্যবসায়ী জসিম মিজিকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে কালো প্রাইভেটকারে উঠিয়ে অপরণ করে। বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরার ফুটেছে ধরা পড়ে অপহরণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনা। ফল ব্যবসায়ী জসিম মিজির কাছ থেকে নগদ ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা দুইটি মোবাইল সেট,দুটি স্বর্ণের আংটি, ১২৯০ সৌদি রিয়াল ও তার ব্যবহৃত ইয়ামা ভার্সন ৩ মোটরসাইকেল ছিনতাই করে।
অপহরণ ও ছিনতাইয়ের কবলে পড়া জসিম মিজি আশিকাটি ইউনিয়নের মধ্য লালদিয়ার
লোকমান মিজির ছেলে। সৌদি আরব থেকে এসে বাবুরহাটে ফল ব্যবসা শুরু করে।

এই ঘটনায় জসিম মিজি বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

গত ১৪ মে বুধবার রাত দুইটায় বাবুরহাট পেন্নাই সড়কে জান্নাত ফল আড়ৎ থেকে মাল বিক্রির ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে মোটরসাইকেল সহ জসিম মিজি তার বাড়ির আশিকাটি ইউনিয়নের মধ্য লালদিয়া রওনা হয়।
এ সময় কালো রঙ্গের একটি প্রাইভেট কার পিছন থেকে এসে কালি ভাংতি ব্রিজের উপরে জসিম মিজির মোটরসাইকেল গতিরোধ করে। গাড়ির ভিতরে চালকসহ ছিনতাইকারী চক্রের ৪ সদস্য বের হয়ে এসে নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তল্লাশি করে।
ফল ব্যবসায়ী জসিমের হাতে হাত করা পড়িয়ে মারধর শুরু করে। পরে মতলব আড়ং বাজার এলাকার সিএনজি চালক সবুজ ঘটনাটি দেখে প্রতিবাদ করলে তাকে ভয় দেখিয়ে প্রাইভেট কারে জোর করে জসিমকে উঠিয়ে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ছিনতাইকারী চক্ররা প্রাইভেট কার ও মোটরসাইকেল নিয়ে প্রথমে বিটি রোড এলাকায় সরকারি লাইব্রেরীর সামনে এসে জসিমের পকেটে থাকা টাকা সৌদির রিয়েল মোবাইল ও স্বর্ণের আন্টি ছিনিয়ে নেয়। এ সময় জসিমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের তেল শেষ হয়ে গেলে ছিনতাইকারী চক্রের এক সদস্য টাকা নিয়ে বাস স্ট্যান্ড ফয়সাল পাম্পে গিয়ে তেল ভরে। পরবর্তীতে জসিমকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সড়ক এসে তাকে বেদম মারধর করে। সেখান থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে গাছ তলা ব্রিজের উপর নিয়ে তাকে গাড়ি থেকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার সহ হাজীগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পুরো ঘটনাটি বিভিন্ন জায়গা থেকে নেওয়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়ে।
এদিকে সিএনজি চালক সবুজ ছিনতাই ও অপহরণের ঘটনাটি জসিমের ছোট ভাই কাশেমকে জানায়।
খবর পেয়ে সাত আটটি মোটরসাইকেল নিয়ে কাশেম মূল অপরাধীদের ধরতে সড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় সেই ছিনতাইকারী চক্ররা গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত হাজীগঞ্জের উদ্দেশ্যে চলে যায়। অল্পের জন্য তাদের ধরা সম্ভব হয়নি বলে জানায় জসিমের স্বজনরা।
তবে চাঁদপুরে এভাবে রাতের বেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয় দিয়ে ছিনতাই ও অপহরণের ঘটনায় বাবুরহাটের ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। খুব দ্রুত গতিতে এই অপরাধীদের ধরার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।