কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও নার্সসহ জনবল সংকটে চিকিৎসাসেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কাগজে-কলমে ৫০ শয্যার এই হাসপাতালটি বর্তমানে মাত্র ২ জন চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করে চলছে, যাঁরা খেয়ালখুশি মতো ডিউটি করেন। ফলে রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা থেকে শুরু করে ব্যান্ডেজ, সেলাই এমনকি অস্ত্রোপচার পর্যন্ত ওয়ার্ডবয় ও পিয়নদের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে, যা রোগীদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

প্রায় ২ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পার্শ্ববর্তী পাংশা ও কুমারখালী থেকেও রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন। তবে ২২টি চিকিৎসক পদের মধ্যে ১৩টি শূন্য, বাকি চিকিৎসকরা ডেপুটেশনে রয়েছেন। এছাড়াও তৃতীয় শ্রেণির ১৮টি, চতুর্থ শ্রেণির ১৩টি এবং নার্সের ৬টি পদ শূন্য রয়েছে।

জনবল সংকটের কারণে হাসপাতালের পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও রোগীদের খাবারের মান নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। রোগীরা জানান, নার্সদের ব্যবহার অমার্জিত এবং হাসপাতালে দালালদের উৎপাত রয়েছে, যা রোগীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলছে।

খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রাজীব কুমার সাহা বলেন, “এত কম সংখ্যক ডাক্তার দিয়ে আউটডোর, ইনডোর ও ইমারজেন্সি বিভাগ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালটিকে দালালমুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন চিকিৎসক, নার্সসহ জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি সম্পর্কে পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। সংকট নিরসনে প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়কেও অবগত করা হবে।

স্থানীয়রা দ্রুত জনবল নিয়োগসহ হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন, যাতে সাধারণ মানুষ সঠিক চিকিৎসাসেবা পেতে পারে।