মামলায় জামিন নিতে এসে কারাগারে গেলেন চেয়ারম্যানসহ  আওয়ামী লীগের দুই নেতা।

প্রকাশিত: ১:৩৮ অপরাহ্ণ, মে ১৪, ২০২৫

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ড ও হামলা মামলায় জামিন নিতে এসে কারাগারে গেলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই নেতা।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন তারা। কিন্তু বিচারক মজিবুর রহমান তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আটক দুই নেতা: মশিউর রহমান শামীম (৩৬) – চেয়ারম্যান, মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদ; উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা

নুরুন্নবী চৌধুরী রতন – সভাপতি, মামুদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ

জয়পুরহাট জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শাহিনুর রহমান জানান, তারা দুজনেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী বিশাল ও মেহেদীর হত্যাকাণ্ড এবং সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

উল্লেখ্য, এর আগে হাইকোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছিলেন এই দুই নেতা। জামিনের মেয়াদ শেষে নিয়ম অনুযায়ী তারা আজ (মঙ্গলবার) জেলা আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন চাইলে আদালত তা নাকচ করে কারাগারে পাঠান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়। জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ওই ঘটনার অংশ হিসেবে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা পুলিশের তালিকায় আসামি হন।

আদালতের এই রায় স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মামলার ভবিষ্যৎ কার্যক্রম এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের আইনি পদক্ষেপের দিকেও এখন নজর থাকবে।