সদরপুরে নারীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় আটক সাবেক ইউপি সদস্য মমরেজ


সজল হাওলাদার, ফরিদপুর থেকেঃ
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় শেফালী বেগম (৫০) নামের এক বৃদ্ধ নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় আলোচিত মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি সদস্য *মমরেজ খালাসী* (৫০) কে আটক করেছে সদরপুর থানা পুলিশ। শনিবার (২৬ এপ্রিল) তাকে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে র্যাব-১০ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে মমরেজকে আটক করে এবং পরে তাকে সদরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মমরেজ খালাসী ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য এবং খালাসী ডাঙ্গী গ্রামের মৃত লাল মিয়া খালাসীর পুত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে মমরেজ খালাসী ও তার দুই সহযোগী শেফালী বেগমের বাড়িতে গিয়ে আড্ডায় বসেন। শেফালী বেগম সম্পর্কে মমরেজের চাচাতো ভাবী হলেও তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। আড্ডার একপর্যায়ে শেফালীকে বাড়ির পাশে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে মমরেজ পালানোর সময় নিহত নারীর ভাগ্নি তাকে চিনে ফেলে।
পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ অবস্থায় শেফালী বেগমকে সদরপুরের বিশ্ব জাকের মঞ্জিল জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা ২০ এপ্রিল রাত আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে সদরপুর থানায় মমরেজকে প্রধান আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে মমরেজ পলাতক ছিলেন।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি মমরেজ খালাসীকে আটক করে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।