সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হলে নাগরিকরা গর্বিত হতো: জামায়াত আমির দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২৫ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত চৌকস নিউজ ডেস্কঃ দেশে শিক্ষা ও সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হলে নাগরিকরা গর্বিত হতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে শিক্ষার কোনো নৈতিক মান নেই। যার কারণে আমরা বিশ্বের কোথাও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি না। বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো র্যাংঙ্ক নেই বললেই চলে। যে শিক্ষা মানুষকে মানুষ হতে শেখায়, মানুষকে সম্মান দিতে শেখায়—সেই শিক্ষা না থাকায় সমাজে নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।’ বুধবার (১৯ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াত আমির এসব কথা বলেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আদালত অঙ্গনে আমি বহুবার এসেছি, মুক্ত মানুষ হিসেবে নয়—বন্দী হিসেবে। আজ মুক্ত পরিবেশে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, দুনিয়াতে বহু পেশা আছে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক, সাংবাদিক কিন্তু কারো নামের আগে বিজ্ঞ শব্দ ব্যবহার করা হয় না—শুধু আইনজীবীদের নামের পূর্বেই বিজ্ঞ শব্দ ব্যবহার করা হয়। বার ও বেঞ্চ নিয়েই বিচার কার্যক্রম। আইনজীবীরা বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আইজীবীদেরকে পলিটিক্যালি মোটিভেটেড (রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত) না হয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে হবে। জামায়াত আমির বলেন, মানবজীবনের জন্য দুটো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক দিক রয়েছে। একটি আদালত আরেকটি চিকিৎসা। এ দুটো জায়গা ঠিক হয়ে গেলে সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে—অর্থাৎ সমাজ ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের দেশে এই দুটোই করুণ অবস্থায়। বলতে গেলে ন্যায়বিচার আজ নির্বাসনে। আর স্বাস্থ্যখাতে চলছে চরম অনিয়ম। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে ব্রিটিশ ল’কে মাদার ‘ল’ বলা হয়। কিন্তু প্রকৃত মাদার ‘ল’ হচ্ছে কোরআনের আইন। ইসলামের আইনকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য আজ পর্যন্ত কোনো আইন তৈরি হয়নি। অনেক আইন আছে—যা এসেছে কোরআন থেকে। যার কারণে বিদ্যমান অনেক আইন কোরআনের সঙ্গে খুব বেশি সাংঘর্ষিক নয়। কোরআনের আইনের ভিত্তিতে এক মানবিক সমাজ গঠনে সকলকে আন্তরিক হতে হবে। তিনি বলেন, আইনজীবীরা বিচারকার্যে বিচারকদের সহায়তা করে থাকেন। এমন এক দিন আসবে যেই দিনটিকে শেষ বিচারের দিন বলা হয়। সেইদিন কেউ কাউকে সহায়তা করতে পারবে না। সেই দিন বাদী, আসামি, আইনজীবী, সাক্ষী, বিচারক সকলকে এক কাতারে থাকতে হবে। সেইদিন বিচারকের আসনে থাকবেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন। অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং অ্যাডভোকেট মশিউল আলম প্রমুখ। SHARES রাজনীতি বিষয়: