খুলনায় দুই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন: পরকীয়া ও গ্যাং দ্বন্দ্বে প্রাণহানি দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ৯:৩৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫ এস. আলম লিপন খুলনা প্রতিনিধি : খুলনায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া দুটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একটিতে পরকীয়ার জেরে, অন্যটিতে সন্ত্রাসী গ্রুপের দ্বন্দ্বে খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে। পরকীয়ার জেরে মোটরসাইকেল চালকের খুন : গত ২০ ফেব্রুয়ারি সকালে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন ২২ তলার সামনে মোটরসাইকেল চালানোর সময় ছুরিকাঘাতের শিকার হন আল-আমিন শেখ ওরফে ইমন (৩০)। অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা তাকে আঘাত করে দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর ইমনের ভাই রাজিবুল ইসলাম সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২৪, তারিখ: ২১/০২/২০২৫, ধারা: ৩০২/৩৪)। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কুতুবুদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যার মূল কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ সাহার সঙ্গে ভিকটিম ইমনের স্ত্রী লামিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানার পর ইমন বিশ্বজিৎকে ফোন করে গালাগাল করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্বজিৎ প্রতিশোধ নিতে ২০ হাজার টাকায় নাইম ও মুন্সিকে ভাড়া করেন। হত্যার দিন সকাল ৮টায় সোনাডাঙ্গার ২২ তলার সামনে ইমনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণব হত্যার রহস্য উদঘাটন : গত ২৪ জানুয়ারি খুলনা মহানগরীর তেতুলতলা মোড়ে প্রকাশ্যে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অর্ণব সরকারকে। তার বাবা নীতিশ সরকার সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২৬, তারিখ: ২৫/০১/২০২৫, ধারা: ৩০২/৩৪)। পুলিশ জানায়, সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে অর্ণবকে হত্যা করা হয়। এক মাসের বেশি সময় ধরে তদন্ত চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তারকৃতদের জবানবন্দিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সন্ত্রাসী গ্রুপের ক্ষমতা বিস্তারের লড়াইয়ের অংশ হিসেবে অর্ণবকে টার্গেট করা হয়েছিল। পুলিশের অবস্থান : সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কুতুবুদ্দিন বলেন, “আমরা প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ বের করতে পেরেছি। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আমরা অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর।” খুলনায় সাম্প্রতিক এসব হত্যাকাণ্ড নগরীর নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা। SHARES অপরাধ বিষয়: