কুড়িগ্রামে বিশাল জনসভা: নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের দাবি

প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫

জাহিদ খান,জেলা প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং ফ্যাসিবাদের চক্রান্ত মোকাবেলার দাবিতে এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় জেলার ঈদগাহ মাঠে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) আব্দুল খালেক এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সাইফুর রহমান রানা। সভাটি সঞ্চালনা করেন কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ। সভাপতিত্ব করেন কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

সভায় বক্তারা দেশের ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। তারা বলেন, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে, অথচ সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।

প্রধান বক্তা অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ফ্যাসিবাদী শাসনের চিত্র তুলে ধরছে। জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছে, আইনের শাসন নেই, স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য নানা চক্রান্ত করছে। কিন্তু জনগণ রাস্তায় নেমেছে, তারা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় করবেই।”

প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, “স্বাধীনতার চেতনা রক্ষায় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশকে এই দুঃশাসন থেকে মুক্ত করা সম্ভব। জনগণের ঐক্যই পারে এই স্বৈরশাসনের অবসান ঘটাতে।”

সভায় বক্তারা অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানান। তারা বলেন, গণতান্ত্রিক উত্তরণ নিশ্চিত করতে হলে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচন দিতে হবে।

এছাড়াও, ফ্যাসিবাদী শক্তির বিভিন্ন চক্রান্ত মোকাবেলায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বক্তারা বলেন, “দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় সবাইকে মাঠে থাকতে হবে।”

সভায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন। জনসভার সমাপ্তিতে বক্তারা জনগণের অধিকার রক্ষায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।