জাহিদ : 

৯ ফেব্রুয়ারি: আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গাজীপুরসহ সারাদেশে যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হয়েছে।

শুক্রবার রাতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনিবার থেকেই যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করেছে।

সরকারের পক্ষ থেকে এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে যে, এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আজ এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।

শুক্রবার রাতের হামলায় কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলাটি পতিত স্বৈরাচারের সন্ত্রাসীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনও স্বাধীন সূত্র থেকে কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।

অভিযানের বর্তমান অগ্রগতি ও প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত জানতে অপেক্ষা করতে হবে আজকের ব্রিফিং পর্যন্ত।

বিস্তারিত আসছে…

এর আগে কোন ধরনের অভিযান চলেছিল :

বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিভিন্ন সময় সরকার যৌথ বাহিনীর অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য অভিযান হলো:

১. অপারেশন ক্লিন হার্ট (২০০২-২০০৩)

২০০২ সালের অক্টোবরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার দেশব্যাপী ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’ নামে এক যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের যৌথ অংশগ্রহণে এই অভিযান চালানো হয়। সরকার এটিকে সন্ত্রাস দমন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য চালালেও অভিযানের সময় নির্যাতন ও আটককৃতদের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে অভিযানের সঙ্গে জড়িতদের দায়মুক্তি দিয়ে বিশেষ আইন পাস করা হয়।

২. যৌথ বাহিনীর অভিযান (২০১৩)

২০১৩ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়, বিশেষ করে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ও বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন দমনের জন্য যৌথ বাহিনী অভিযান চালায়। বিভিন্ন জেলায় অভিযান পরিচালিত হয়, যার মধ্যে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

৩. মাদকবিরোধী অভিযান (২০১৮)

আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ সালে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে, যেখানে র‌্যাব ও পুলিশ একসঙ্গে কাজ করে। এই অভিযানে শতাধিক ব্যক্তি নিহত হন এবং হাজারের বেশি লোক গ্রেপ্তার হন। অভিযানের ব্যাপকতা এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ নিয়ে দেশ-বিদেশে সমালোচনা হয়।

৪. ২০২১-২২ সালে বিশেষ অভিযান

২০২১ ও ২০২২ সালে দেশব্যাপী ‘বিশেষ অভিযান’ পরিচালিত হয়, যা মূলত বিএনপি ও বিরোধী দলের আন্দোলন দমন এবং সন্ত্রাস দমন ও চোরাচালান নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছিল।

এবারের ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ দেখতে গেলে আগের অভিযানগুলোর মতোই একটি যৌথ বাহিনীর পদক্ষেপ,