বোরো আবাদে পানি সংকটে কমলগঞ্জের চাষীরা

প্রকাশিত: ৪:৪১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চলতি বোরো মৌসুমেও বোরো আবাদ হয়েছে ৪০ শতাংশ। প্রচন্ড সেচ সংকটে কৃষি এলাকার কৃষকরা বোরো আবাদ নিয়ে শঙ্কিত। নিম্নাঞ্চলের যেসব স্থানে প্রতি বছর বোরো আবাদ হয়েছে সেসব স্থানেও সেচ সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে বোরো আবাদি জমি নিয়েও কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর ৫১২২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত ৪০ শতাংশ জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তবে সেচ সঙ্কটের কারনে বোরো আবাদ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।কৃষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ধলাই, লাঘাটা নদীসহ পাহাড়ি ছড়াসমুহেও পর্যাপ্ত পানি নেই। বিভিন্ন স্থানে ক্রস বাঁধ কিংবা ব্লুইসগেট দিয়ে কিছু কিছু স্থানে পানি আটকিয়ে চাষাবাদ হচ্ছে। এরফলে অন্যান্য স্থানে কাঙ্খিত পানি পাওয়া যাচ্ছে না।

পতনউষারের কৃষক আব্দুল করিম,জিলাদ আহমদ,তফজুল মিয়া,ইসমাইল মিয়া,মখলিছ মিয়া,ফারুক মিয়া,আব্দুল গফফার, আব্দুর রশিদ, মো:শফিকুর রহমান,কেফায়ত আলী,হেদায়াত মিয়া,মুজাহিদ মিয়া,জেসনা বেগম,মাসুক মিয়া,আব্দুল মুমিন,আবুল মিয়া,মুক্তার মিয়া,আব্দুল মজিদ,সামাদ আলী,লুৎফুর মিয়া,আকতার মিয়া, পরিমল দেবনাথ, সওকত মিয়া, সুহেল আহমদ বলেন, যুগ যুগ ধরে পূর্বসূরীরা বোরো চাষাবাদ করে আসছেন। নিম্নাঞ্চলের জমি থাকায় আমরাও বোরো চাষাবাদ করি। তবে এবছর সেচের অভাবে বেশকিছু জমি এখনো পরিত্যক্ত রয়েছে। পানি না পাওয়ায় চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় বাসা বাড়িতে দেখা দিয়েছে খাবার পানির সংকট।

তারা আরো বলেন, জমি মূলত বোরো আবাদী। অথচ উজানের বিভিন্ন স্থানে নদী থেকে পানি আটকিয়ে নিয়ে যাওয়ায় আমরা সেচের অভাব বোধ করছি। তবে বোরো আবাদ না হলে দুর্ভোগে পড়তে হবে বলে তারা মন্তব্য করেন।

কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, আসলে শুষ্ক মৌসুম থাকায় কৃষকরা কিছুটা সেচের পানি সংকটে রয়েছেন। তাছাড়া লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ চাষাবাদ হয়েছে। সময় এখনো যথেষ্ট রয়েছে। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে।