জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে খুলনায় ছাত্রশিবিরের গণমিছিল, প্রশাসন বলছে তদন্ত চলছে দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ১০:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২৫ ইমরুল ইসলাম,খুলনা খুলনা, বাংলাদেশ – জুলাই মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) খুলনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির নেতারা অভিযোগ করেছেন, ছয় মাস পার হলেও বিচার প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, তদন্ত চলছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জুমার নামাজ শেষে নিউ মার্কেট বাইতুন নূর জামে মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রয়েল মোড় চত্বরে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। ছাত্রশিবিরের দাবি গণমিছিল-পরবর্তী সমাবেশে খুলনা মহানগর ছাত্রশিবির সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন সভাপতিত্ব করেন, আর সঞ্চালনা করেন মহানগর সেক্রেটারি রাকিব হাসান। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক নোমান হোসেন নয়ন বলেন, “দীর্ঘ ছয় মাস পার হলেও সরকার হত্যাকাণ্ডের বিচারে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। প্রশাসন থেকে শুরু করে যারা এই হামলায় জড়িত, তাদের বিচারের জন্য আমরা রাজপথে আছি এবং থাকব।” মিছিলকারীরা ‘বিচারের দাবি’সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দেন এবং দলীয় পতাকা বহন করেন। আয়োজকদের দাবি, কয়েক হাজার নেতাকর্মী এতে অংশ নেন। প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিল। এখন পর্যন্ত কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি।” তিনি আরও বলেন, “জুলাই মাসের ঘটনায় তদন্ত চলছে। আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কোনো গোষ্ঠী যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তাহলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” সরকারের অবস্থান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের খুলনা বিভাগের একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এই ধরনের বিক্ষোভ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে কোনো দল যদি সহিংসতা উসকে দেয়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া বিএনপি খুলনা মহানগরের এক নেতার মতে, “জুলাই মাসে যা ঘটেছে, তা বিচারহীনতার আরও একটি উদাহরণ। সরকার একদলীয় শাসন কায়েমের চেষ্টা করছে এবং বিরোধী মতকে দমন করছে।” এ বিষয়ে ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, “ছাত্রশিবির অতীতে নানা সহিংস কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল। তারা কি গণতন্ত্রের কথা বলবে? প্রকৃতপক্ষে, তাদের এজেন্ডাই হলো অস্থিতিশীলতা তৈরি করা।” নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গণমিছিল ঘিরে খুলনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। প্রশাসন বলছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, এবং ভবিষ্যতে আরও কঠোর নজরদারি থাকবে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: