নাটোরে নিবন্ধনহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ছড়াছড়ি, জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিতে

প্রকাশিত: ২:১৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
আবু বাসার, স্টাফ রিপোর্টার

নাটোরের সদর ও বিভিন্ন উপজেলার (সিংড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম, লালপুর, বাগাতিপাড়া ও নলডাঙ্গা) এলাকায় নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য নিবন্ধনহীন ক্লিনিক, হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফিজিওথেরাপি সেন্টার এবং ডেন্টাল ক্লিনিক। এদের বেশিরভাগই এখনো সিভিল সার্জন অফিসে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেনি।

অভিযান হলেও অবস্থার উন্নতি নেই

জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সিভিল সার্জন অফিসের সহায়তায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও এ ধরনের অবৈধ প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। কিছু প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হলেও জনবল সংকটের কারণে সব প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন অফিস।

নিয়মনীতি মানার বালাই নেই

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল এবং সিভিল সার্জন অফিসের আশপাশে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গড়ে উঠেছে এসব প্রতিষ্ঠান। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী, দক্ষ চিকিৎসক, নার্স এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অভাব স্পষ্ট। এমনকি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সরকারি হাসপাতাল থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে ক্লিনিক স্থাপনের বিধানও মানা হয়নি।

দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য

নিবন্ধনহীন এসব প্রতিষ্ঠানে থাকা চিকিৎসকদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ দালালরা রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য নির্দেশনা দেয়। রোগীদের নির্দিষ্ট ক্লিনিকে পাঠিয়ে কমিশন আদায় করে চিকিৎসক এবং দালালরা। এতে রোগীদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

আইন প্রয়োগের দাবি

সাধারণ জনগণ নিবন্ধনহীন প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করতে এবং দালাল চক্র নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করছেন। পাশাপাশি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা এবং অবৈধ ক্লিনিকগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

সিভিল সার্জন বলেছেন-“নিবন্ধন ছাড়া কোনো ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা করা যাবে না। নিয়মিত অভিযান চলবে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”