খুলনার রূপসা উপজেলায় অবৈধ কয়লার চুল্লির প্রভাবে পরিবেশ ও বনজ সম্পদ নষ্ট হচ্ছে

প্রকাশিত: ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি, খুলনা :

খুলনার রূপসা উপজেলায় অবৈধ কয়লার চুল্লির কারণে পরিবেশ ও বনজ সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অভিযোগ আছে । এসব চুল্লি চালানো হচ্ছে বনভূমির আশেপাশে এবং কৃষিজমির মধ্যে, যা কৃষক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বিপদ ডেকে এনেছে। এলাকাবাসী ও পরিবেশবিদরা অভিযোগ করেছেন যে, এই চুল্লির কারণে সৃষ্ট ক্ষতিকর ধোঁয়া এবং গ্যাস আশপাশের পরিবেশে বিপজ্জনক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।

প্রভাব:

এই অবৈধ কয়লা চুল্লির মাধ্যমে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ ধোঁয়া এবং ক্ষতিকর গ্যাস বের হচ্ছে, যা পরিবেশকে দূষিত করছে এবং বনজ সম্পদ ও কৃষি জমিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং বনাঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে। এতে তাদের জীবিকা ও ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

 

আইনি ধারা:

এই ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য আইন নিম্নরূপ হতে পারে:

 

বন আইন, ১৯২৭ (Forest Act, 1927):

 

ধারা ২৬ (Penalty for damage to forest produce): বনভূমি বা বনজ সম্পদের ক্ষতির জন্য শাস্তি প্রদান করা যেতে পারে। এর শাস্তি হিসেবে একাধিক বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড হতে পারে।

 

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (Environmental Conservation Act, 1995):

 

ধারা ৭ (Prohibition of harmful activities): অবৈধ কার্যকলাপ, বিশেষত পরিবেশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলা কার্যক্রমের জন্য জরিমানা বা কারাদণ্ড হতে পারে। এতে পরিবেশে সৃষ্ট ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

 

ধারা ১৪ (Penalties for environmental damage): পরিবেশের ক্ষতির জন্য গুরুতর শাস্তি দেওয়া হয়, যা ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডও হতে পারে।

 

অভিযোগ ও স্থানীয়দের বক্তব্য:

 

স্থানীয় কৃষক ও পরিবেশবিদরা বলছেন, এই অবৈধ কয়লা চুল্লির কার্যকলাপ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে পুরো এলাকার বাস্তুতন্ত্র বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। ফলে, এ ব্যাপারে দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

পরবর্তী পদক্ষেপ:

স্থানীয় প্রশাসন এবং বন বিভাগ এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে এবং অবৈধ কয়লা চুল্লি বন্ধের জন্য অভিযান পরিচালনা করছে।