শ্রীবরদীতে ৪ অবৈধ করাত কলের যন্ত্রাংশ ও কাঠ জব্দ, উচ্ছেদ অভিযান দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫ স্টাফ রিপোর্টার: মাসুদুর রহমান ঘটনা: শ্রীবরদীতে বন নীতিমালা অমান্য করে সংরক্ষিত বনভূমি থেকে অবৈধভাবে করাত কল পরিচালনা করার অভিযোগে ৪টি করাত কলের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি সোমবার সকাল ১০টা থেকে শ্রীবরদী উপজেলা প্রশাসন ও ময়মনসিংহ বন বিভাগের বালিজুরি ফরেস্ট রেঞ্জের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযান ও জব্দ: শ্রীবরদী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাহিদুল হক নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ অভিযানে শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪টি অবৈধ করাত কল উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে কাঠ এবং করাত কলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়। বন বিভাগের বক্তব্য: ময়মনসিংহ বন বিভাগের বালিজুরি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ সুমন মিয়া জানান, “বালিজুরী রেঞ্জের সংরক্ষিত বনভূমির ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে অবস্থিত এই চারটি করাত কল অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। তাদেরকে বারবার সতর্ক করা হলেও তারা বন বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে করাত কল চালিয়ে আসছিল।” অভিযানের পরবর্তী পদক্ষেপ: এই অভিযানে জব্দ করা যন্ত্রাংশ ও কাঠের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এসব করাত কলের মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ধারা: বন সংরক্ষণ আইন, ১৯২৭ (Forest Conservation Act, 1927): এই আইনে বনভূমিতে অবৈধভাবে করাত কল স্থাপন এবং অবৈধ কাঠ সংগ্রহের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। বনভূমি বা বনসম্পদ যাতে ধ্বংস না হয়, সেই জন্য এ আইনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বন আইন ১৯৯০ (Forest Act 1990): বাংলাদেশে অবৈধভাবে বনভূমি ব্যবহার, বনজ সম্পদ চুরি বা অবৈধভাবে করাত কল স্থাপন করা অপরাধ। এ আইনের অধীনে কাঠ চোরাচালান এবং অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে জরিমানা, কারাদণ্ড বা উভয় শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে। ধারা: ধারা ২৭(১): অবৈধ কাঠ বা বনজ পণ্য সংগ্রহ ও ব্যবহার করার জন্য কারাদণ্ড বা জরিমানা। ধারা ৪০: বন সংরক্ষণ আইনের অধীনে ক্ষতিগ্রস্ত বনভূমি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (Bangladesh Environment Conservation Act, 1995): এই আইনে পরিবেশের ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রয়েছে, বিশেষত বনভূমি এবং জলবায়ুতে ক্ষতি সাধনকারী কার্যক্রমে যুক্ত হলে জরিমানা বা কারাদণ্ড হতে পারে। প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ আইন: এই আইনের অধীনে প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষতি করার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং অবৈধভাবে করাত কল পরিচালনা ও কাঠের অবৈধ ব্যবহার এবং পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলার জন্য শাস্তি দেয়া যেতে পারে। শাস্তি: এই আইনের অধীনে: জরিমানা: অর্থদণ্ডের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি দেয়া যেতে পারে। SHARES সারা বাংলা বিষয়: