জামায়াতে ইসলামী কুড়িগ্রাম জেলা সম্মেলনে দেশ গঠনে ন্যায় প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার

প্রকাশিত: ১:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২৫

জাহিদ খান কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রাম, বাংলাদেশ – জামায়াতে ইসলামী কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আয়োজনে আজ (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক বর্ণাঢ্য কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমান, যিনি তার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে বলেন, “উন্নয়নের নামে বর্তমান সরকার ২৬ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের জন্য বাংলার মাটিতে কোনো স্থান নেই। জনগণ এখন তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রস্তুত।”

রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও সংগ্রামের গুরুত্ব :

ডা. শফিকুর রহমান তার বক্তৃতায় জামায়াতে ইসলামী’র উদ্দেশ্য এবং উদ্দেশ্যপূরণে সংগ্রামের গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে সত্য ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।” তিনি মানবিক বাংলাদেশ গঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, “যুদ্ধ চলবে যতদিন না আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারি। দেশের প্রতি ভালোবাসা ও ত্যাগের মানসিকতা নিয়েই আমাদের রাজনীতি করতে হবে।”

ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতিচারণ ও নীতির প্রতিশ্রুতি:

সম্মেলনে কুড়িগ্রামের ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ী যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “এর প্রতিশোধ নিতে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল,” এবং তিনি নিশ্চিত করেন যে, জামায়াতে ইসলামী কোনো ধরনের সামাজিক অনাচার বা চাঁদাবাজি সহ্য করবে না। “এ জন্যই আমরা রাজনীতি করি, সত্য প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য।”

কর্মীদের উদ্দেশ্যে আহ্বান:

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আমির আব্দুল মতিন ফারুকী, এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন এবং অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল। বক্তারা কর্মীদেরকে দেশের উন্নয়ন, ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের কল্যাণে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তারা বলেন, “আমাদের রাজনীতি দেশের জনগণের জন্য, সমাজ থেকে অনাচার দূর করে সত্যের ভিত্তিতে দেশকে গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে সম্মেলন:

সম্মেলনে কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকার কর্মী এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন, এবং এটি উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।