চাঁদপুরে শীর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদকসম্রাট কাউসার মাল সেনাবাহিনীর হাতে আটক দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ১১:৪৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২৫ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চাঁদপুর বাবুরহাটের শীর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদকসম্রাট কাউসার মাল সেনাবাহিনীর হাতে আটক হয়েছেন। দীর্ঘদিনের অপরাধ কর্মকাণ্ড : চাঁদপুর পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বাবুরহাট এলাকার এই চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী কাউসার মাল রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি ও মাদক পাচারের কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। তিনি বাবুরহাট এলাকার বাস স্ট্যান্ড, সিএনজি স্ট্যান্ড, অটো স্ট্যান্ডসহ বাজার থেকে প্রতিদিন মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদাবাজি করতেন এবং ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে মাদকের বড় বড় চালান বাবুরহাটে নিয়ে আসতেন। সেনাবাহিনীর অভিযান : স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী কাউসার মালকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালায়। সেনাবাহিনীর ২১ বীরের অধিনায়ক মোঃ জাবিদ হাসান নেতৃত্বে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে কাউসার মালকে আটক করে। কাউসার মালের পরিচয় : কাউসার মাল বাবুরহাট ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সাত্তার মালের ছেলে। তিনি মাদক সম্রাট ও চাঁদাবাজ মোঃ জিন্টু মাল এবং সন্ত্রাসী দুদু মালের আত্মীয়। অভিযানে আরও সন্ত্রাসীর পালানো: কাউসার মালকে গ্রেপ্তারের পর, চাঁদপুর কুমিল্লা জেলার মাদক সম্রাট দুদু মালের ছেলে নাজির মাল পালিয়ে যায়। মামলা ও অভিযোগ : কাউসার মাল চাঁদপুর মডেল থানায় চাঁদাবাজি, মাদক পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মামলার শিকার হয়েছেন। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে বাবুরহাট এলাকায় রাস্তার পাশের সরকারি জায়গা দখল করে বিভিন্ন স্ট্যান্ড বসিয়ে চাঁদাবাজি করতেন এবং বাজারের ভাসমান দোকান থেকেও চাঁদা আদায় করতেন। এলাকাবাসীর স্বস্তি : কাউসার মালকে গ্রেপ্তারের পর এলাকার মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ভুক্তভোগীরা সেনাবাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। আরও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে দাবি: এলাকা বাসী চাঁদপুর বাবুরহাট বাজারের আরও সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাদের মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ জিন্টু মাল, মাদক সম্রাট সন্ত্রাসী দুদু মাল এবং কুমিল্লা জেলার মাদক ব্যবসায়ী নাজির মালসহ অন্যান্যদের নাম উঠে এসেছে। স্থানীয়দের দাবি : দীর্ঘদিন ধরে এসব অপরাধী এলাকাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ করে রেখেছে, এবং তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে। SHARES আইন আদালত বিষয়: