মৌলভীবাজারে চা শ্রমিক সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংগঠক সারজিস আলমের বক্তব্য

প্রকাশিত: ২:১৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে অনুষ্ঠিত :চা শ্রমিক সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, “ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার চোখ শুধু ঢাকা থেকে তার বাপের বাড়ি টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল না। দেশের অন্য কোথাও যে তার চোখ পড়েনি, তা নয়। চা শিল্পেও শেখ পরিবার ভাগ বসিয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “চা বাগানে মদের পাট্টা থাকা উচিত নয়, সেগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চা শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগান মাঠে আয়োজিত চা শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সমাবেশে শ্রমিক ও চা শিল্প রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা গ্রহন, মনুষ্যোচিত মজুরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও চাকরির নিশ্চয়তা সহ নানা দাবিতে আলোচনা করা হয়। সমাবেশে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপের সুপারিশ করা হয়।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন মনু-দলই ভ্যালির সভাপতি ধনা বাউরী সভাপতিত্ব করেন। জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা পূরণের জন্য আমরা অর্থনৈতিক বৈষম্য, শোষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। চা শ্রমিকরা যুগ যুগ ধরে বৈষম্যের শিকার। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থায় অবাধ লুটপাট চা শিল্প এবং শ্রমিকদের ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।”

তিনি আরও বলেন, “চা শ্রমিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চাকরির নিশ্চয়তা সহ জীবনমানের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।”

চা শ্রমিক সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শ্যামলী সুলতানা জ্যানি, আসাদুল্লাহ গালিব, কুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউসুফ খাঁন এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া চা শ্রমিক কন্যা সাবেক উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান খাইরুন আক্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশী, চা শ্রমিক নারী নেত্রী গীতা কানু, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজমিন সুলতানা প্রমুখও বক্তব্য রাখেন।

এই সমাবেশের মাধ্যমে চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন এবং তাদের অধিকার আদায়ের জন্য একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।