করেছেন,কতিপয় দালালের খপ্পরে পড়ে জমির মালিকদের বৃহৎ অংশ জমির টপ সয়েল কাটার কারণে জমি হারাচ্ছে তার উর্বরতা। ফলে ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে যাচ্ছে। এক কৃষকের ভাষায়, "আমাদের জমি এমনিতেই ছোট। এর উপর পাশ্ববর্তী জমির টপ সয়েল কেটে নিলে আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।এ অবস্থা চলতে থাকলে আমরা কীভাবে ফসল ফলাবো?"
https://www.facebook.com/dailychoukasdigital?mibextid=ZbWKwL
মাটির উর্বরতা হ্রাস:
টপ সয়েল (উপরের স্তরের মাটি) সবচেয়ে উর্বর। এটি অপসারণের ফলে কৃষিজমি অনুর্বর হয়ে পড়বে, যা দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
টপ সয়েল অপসারণে স্থানীয় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে বায়োডাইভারসিটি হ্রাস পায় এবং বায়ু ও পানি দূষণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
মাটি কাটার ফলে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে যেতে পারে। এতে বন্যা ও জলাবদ্ধতার ঝুঁকি বাড়বে।
স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রার মান হ্রাস:
কৃষি জমির উর্বরতা হ্রাস ও পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফলে স্থানীয় জনগণের আয়ের উৎস কমে যাবে।
আইনের শাসনের অভাব:
যদি প্রশাসন নীরব থাকে, তবে এর অর্থ হবে অবৈধ কার্যকলাপের প্রশ্রয় দেওয়া। এটি স্থানীয় পর্যায়ে আইনের প্রতি অবিশ্বাস তৈরি করবে।
দীর্ঘমেয়াদি ভূমিধসের ঝুঁকি:
মাটি কাটা অনিয়ন্ত্রিত হলে ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়ে। এটি এলাকার অবকাঠামো ও বাসস্থান ধ্বংসের কারণ হতে পারে।
প্রশাসনের নীরবতা:
প্রশাসনের নীরবতা তাদের দায়িত্বহীনতা বা দুর্নীতির ইঙ্গিত দেয়, যা জনগণের আস্থায় আঘাত হানে।
অভিযান:
ইট ভাটা ও টপ সয়েল ধ্বংসের সংবাদ বহুবার গণমাধ্যমে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হলেও প্রশাসন নামে মাত্র এক দু বার অভিযান পরিচালনা করে আর্থিক জরিমানা করেছিলো, কিন্তু কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রভাবশালী মহলের যোগসাজশে এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের মাঝে। পরিবেশবিদদের মতে, টপ সয়েল কাটা পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের লঙ্ঘন। এই অবস্থা চলতে থাকলে নাগেশ্বরীতে পরিবেশগত বিপর্যয় এবং কৃষি সংকট অনিবার্য।
নাগরিক সমাজ :
সচেতন মহল এসব অবৈধ ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা এবং টপ সয়েল কাটা বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছে। তারা কৃষকদের সচেতন হওয়ার ও আহ্বান জানিয়েছেন।
ধ্বংস হচ্ছে:
টপ সয়েল কাটার ফলে শুধু জমির ক্ষতিই হচ্ছে না,গ্রামীণ জনপদের অবস্থাও বেহাল দশা,এই মাটি পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধ ট্রাক্টর এর জন্য। পাকা রাস্তাও ধ্বংস হচ্ছে এই ট্রাক্টর ও মাটির জন্য।
এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে কিনা। যদি অবিলম্বে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে নাগেশ্বরী উপজেলার কৃষি, পরিবেশ এবং জনজীবন স্থায়ী সংকটে পড়তে পারে।
সয়েল কাটা বন্ধ:
এ পরিস্থিতিতে, অবিলম্বে টপ সয়েল কাটা বন্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ, যথাযথ আইন প্রয়োগ এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এস এম নজরুল ইসলাম, সহ- সম্পাদকঃ জাহিদ হোসেন (সজল)
চৌকস মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক চৌকস ভবন চরকালিগঞ্জ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং আল আমিন প্রিন্টার্স এন্ড প্যাকেজ লিঃ ১৪৩/বি চৌধুরীপাড়া ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন (৪র্থ তলা) মতিঝিল বা/এ,ঢাকা-১০০
মোবাইলঃ +৮৮০১৭১৬-১২৭৮১১, +৮৮০১৯৩৩-৯৪৮৫৬৭
ই-মেইলঃ dainikchoukos@gmail.com, choukasinfo@gmail.com
ওয়েবসাইটঃ www.dainikchoukos.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত