খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিদকে নিয়ে নানা অভিযোগ দৈনিক চৌকস দৈনিক চৌকস প্রকাশিত: ২:০১ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২৫ মানিকগঞ্জ : খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিদ চাকরিজীবন শুরু করেন বালিয়াখোড়া ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে। তবে, সেখানে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগ নেতাদের সহায়তায়: তবে, মজিদ তাঁর কর্মজীবন শেষ করার আগেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সহায়তায় ২০১২ সালে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেন। তাঁর যোগদানের পর থেকেই বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন, যা বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ও প্রশাসনিক সুষ্ঠু পরিচালনাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে : মজিদ প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটতে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষক নিয়োগে ঘুষ গ্রহণ, পরীক্ষায় ফেল করাদের টাকার বিনিময়ে উত্তীর্ণ করা, ভবন নির্মাণে দুর্নীতি এবং আসবাব কেনাকাটায় অনিয়ম। এসব অভিযোগ এলাকাবাসী, অভিভাবক এবং বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষকের পক্ষ থেকে উত্থাপিত হয়েছে। ঘুষ গ্রহণ ও শিক্ষার্থীদের টাকার বিনিময়ে উত্তীর্ণ করার অভিযোগ: বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মজিদ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ করার ব্যবস্থা করতেন। এ ছাড়া শিক্ষকদের নিয়োগও ঘুষের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হতো, যার ফলে যোগ্য প্রার্থীরা বাদ পড়ে গিয়ে অনিয়মের শিকার হন। নিম্নমানের ভবন নির্মাণ ও আসবাব কেনাকাটায় দুর্নীতি: বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজেও ব্যাপক অনিয়ম এবং দুর্নীতি ঘটেছে। অভিযোগ রয়েছে, নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহৃত হয়েছে, যার ফলে ভবনটি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়া, বিদ্যালয়ের আসবাব কেনার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে, যেখানে নিম্নমানের আসবাবপত্র কেনা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি: এলাকার অভিভাবকরা এবং স্থানীয় জনগণ এসব অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছেন এবং বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিচালনা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মজিদ কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে এলাকাবাসী আশা প্রকাশ করেছেন যে, এসব অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। উপসংহার: এ ঘটনা শিক্ষার মান ও প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিচালনা এবং শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। SHARES শিক্ষাঙ্গন বিষয়: