মোঃ নাজমুল হোসেন, ঢাকা প্রতিনিধি : দীর্ঘদিন ধরে রাজধানী ও এর বাইরের এলাকায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে কতিপয় ব্যক্তি। বিশেষ করে রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলি এবং সড়কগুলোতে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল বন্ধ করে হাতি দিয়ে টাকা আদায় করার ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।
এই চাঁদাবাজি ব্যাপারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং পথচারীরা সাধারণত চুপ করে থাকেন, কারণ তারা ভয় পেয়ে বাধ্য হয়ে টাকা দেন। এমনকি ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের পণ্য নষ্ট হওয়ার ভয়ে কিছু না বলেই টাকা গুঁজিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাতির পিঠে চুপচাপ বসে থাকা মাহুতের ইশারায় হাতি দোকান থেকে দোকানে চলে যায় এবং ১০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে নেয়। যতক্ষণ না পর্যন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে দেওয়া হয়, ততক্ষণ হাতি স্থান ত্যাগ করে না। যদি টাকা না দেওয়া হয়, তখন প্রশিক্ষিত এই হাতি ক্ষুব্ধ হয়ে উচ্চস্বরে হুংকার ছাড়ে। তবে অনেক পথচারী আনন্দ পেয়ে টাকা দিলেও, বেশির ভাগই বন্য প্রাণী দিয়ে টাকা আদায়কে অনৈতিক বলে মনে করেন।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানায়, তাদের প্রতিটি মিটিংয়ে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজির বিষয়টি আলোচনার পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করা হয়। ডিএমপি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যেখানে এমন সংবাদ পাওয়া যাবে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে বন্য প্রাণী দমন অপরাধ ইউনিট বলেছে:
হাতি লালন-পালনের জন্য নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। যারা হাতি নিয়ে দোকান থেকে দোকানে গিয়ে টাকা তোলে, তা নিঃসন্দেহে একটি অপরাধ। তবে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত ডিসেম্বর মাসে রাজধানীর সিকসন এলাকায় একটি বিরাট হাতি নিয়ে এক মাহুত হাজির হন। সেখানে হকার থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হাতি দিয়ে টাকা আদায় করা হয়। সিকসনের চা ব্যবসায়ী মোঃ মিন্টু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “দোকানে অনেক কিছু সাজানো থাকে। হাতিটি যদি দোকানের মালপত্র নষ্ট করে, এ ভয়ে কিছু বলি না। যেভাবে শুঁড় এগিয়ে দেয়, ভয়ে টাকা কে না দেবে? না দিলে তো দাঁড়িয়ে থাকে, জোরে জোরে হুংকার করে।”
শুধু সিকসন নয়, রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি এখন প্রায়ই দেখা যায়। তাই ব্যবসায়ীদের দাবি, দ্রুত যেন এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করার উদ্যোগ নেয় প্রশাসন।”
অপরাধে বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা:
এ ধরনের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী ও পথচারীরা প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপের অপেক্ষায় আছেন। তারা চাইছেন যে, হাতির মাধ্যমে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে এবং যারা এই ধরনের অপরাধে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এস এম নজরুল ইসলাম, সহ- সম্পাদকঃ জাহিদ হোসেন (সজল)
চৌকস মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক চৌকস ভবন চরকালিগঞ্জ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং আল আমিন প্রিন্টার্স এন্ড প্যাকেজ লিঃ ১৪৩/বি চৌধুরীপাড়া ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন (৪র্থ তলা) মতিঝিল বা/এ,ঢাকা-১০০
মোবাইলঃ +৮৮০১৭১৬-১২৭৮১১, +৮৮০১৯৩৩-৯৪৮৫৬৭
ই-মেইলঃ dainikchoukos@gmail.com, choukasinfo@gmail.com
ওয়েবসাইটঃ www.dainikchoukos.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত