জাহিদ হোসেন সজল : রাজধানীর মোহাম্মদপুরে প্রতিদিনই বাড়ছে গণ-ছিনতাইয়ের ঘটনা। ধারালো সামুরাই-চাপাতি হাতে সশস্ত্র গ্যাং সদস্যরা দিবালোকে কিংবা রাতের অন্ধকারে পথচারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন কমপক্ষে ২০টি জায়গায় এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটাচ্ছে।
হামলা চালায়:
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান গ্যাংয়ের সদস্যরা বেশিরভাগ সময়ই মোটরসাইকেল কিংবা পায়ে হেঁটে হামলা চালায়। তাদের কাছে থাকে ধারালো অস্ত্র, বিশেষ করে সামুরাই ছুরি এবং চাপাতি, যা দিয়ে তারা খুব দ্রুত পথচারীদের কাছ থেকে মোবাইল, মানিব্যাগ, গহনা, কিংবা টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। হামলার সময় তারা সশস্ত্র অবস্থায় থাকে, যা পথচারীদের ভয় দেখিয়ে দ্রুত ছিনতাই করতে সাহায্য করে।
রাত হলেই:
একটি স্থানীয় দোকানদার জানান, "রাত হলেই গ্যাংয়ের সদস্যরা রাস্তায় আসতে থাকে। তারা সড়কগুলোতে ঘুরে ঘুরে ছিনতাই করে, আর কেউ কিছু বললেই ছুরি উঁচিয়ে ভয় দেখায়। এখানে আমাদের নিরাপত্তা নেই।"
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন:
অন্যদিকে, মোহাম্মদপুর থানার স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, এই ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে তারা নিয়মিত টহল দিচ্ছেন, তবে গ্যাংয়ের সদস্যরা প্রায়ই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। একাধিক অভিযান চালানোর পরও, তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে পুলিশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের দ্রুত পালানোর ক্ষমতা এবং বিকৃত চেহারা।
ছিনতাইয়ের ঘটনা:
২০২৪ সালে ডিএমপির ৫০ থানায় ছিনতাইয়ের ৩৯৭ মামলার মধ্যে মোহাম্মদপুরেই ৬৪টি। তবে অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, ছিনতাইয়ের ঘটনা মামলা থেকে কয়েকগুণ বেশি।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন :
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, "আমরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের ধরতে নানান উদ্যোগ নিয়েছি, তবে এটি একটি গ্যাং কালচার তৈরি হয়েছে, যেখানে একে অপরকে সমর্থন দেয়। সুতরাং, শুধু পুলিশি ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়, সমাজের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।"
এলাকাবাসী প্রতিবাদ :
এছাড়া, স্থানীয় অধিকারকর্মী এবং এলাকাবাসী এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। তারা মনে করেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের শাস্তি দেওয়া এবং তাদের সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা প্রয়োজন।
মোহাম্মদপুরের বাসিন্দারা দাবি :
করছেন, শহরের অন্যান্য এলাকায় যেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী, সেখানে মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের লাগাম টানতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তাদের মতে, পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং সমাজের অন্যান্য অংশের সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে, যাতে এই ধরনের অপরাধ বন্ধ হয়।
অভিযোগ:
এদিকে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ আসার পর, তারা দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে এবং গ্যাংয়ের সদস্যদের শনাক্ত করতে বিশেষ অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করেছে। তবে, এলাকাবাসী চায় পুলিশ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ এস এম নজরুল ইসলাম, সহ- সম্পাদকঃ জাহিদ হোসেন (সজল)
চৌকস মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক চৌকস ভবন চরকালিগঞ্জ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং আল আমিন প্রিন্টার্স এন্ড প্যাকেজ লিঃ ১৪৩/বি চৌধুরীপাড়া ঢাকা থেকে মুদ্রিত।
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৬/৫৭ শরীফ ম্যানশন (৪র্থ তলা) মতিঝিল বা/এ,ঢাকা-১০০
মোবাইলঃ +৮৮০১৭১৬-১২৭৮১১, +৮৮০১৯৩৩-৯৪৮৫৬৭
ই-মেইলঃ dainikchoukos@gmail.com, choukasinfo@gmail.com
ওয়েবসাইটঃ www.dainikchoukos.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত