চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে শুক্লা দে টিকলি হত্যার দাবি নাকচ করেছে রিউমার স্ক্যানার

প্রকাশিত: ৮:৫৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০২৫

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে শুক্লা দে টিকলি নামে এক হিন্দু এনজিও কর্মীকে হত্যার দাবি নাকচ করেছে তথ্য যাচাইকারী সংস্থা “রিউমার স্ক্যানার”| সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদনে জানায়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুক্লা দে টিকলির হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ে, কিন্তু তা ছিলো ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিকর।

 

তথ্য যাচাইকারীরা বলেন :

কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করা হচ্ছিল যে, শুক্লা দে টিকলিকে হত্যা করা হয়েছে এবং এটি সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ড হিসেবে প্রচারিত হচ্ছে। তবে, প্রকৃতপক্ষে, এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা ছিল এবং মানসিক চাপের কারণে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন।

তথ্য যাচাইকারীরা আরও জানান: যমুনা টেলিভিশনের ওয়েবসাইটে “চট্টগ্রামে এক নারী এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যেখানে শুক্লা দে নামের এক নারীর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি রূপসা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ৪ জানুয়ারি রাতে, উপজেলার শ্রীপুর-খড়দ্বীপ ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

 

প্রতিবেদনটি আরও জানায়: 

যে, শুক্লা দে ঋণের কিস্তি আদায়ের জন্য চাপ অনুভব করছিলেন, যার কারণে তিনি মানসিকভাবে হতাশ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। শুক্লার স্বামী সিদুল পাল অভিযোগ করেছেন যে, প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তার স্ত্রীর উপর ঋণের কিস্তি আদায়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিল এবং এই চাপের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

 

তিনি আরও জানান, ২০২৩ সালের মে মাসে শুক্লা প্রতিষ্ঠানটিতে যোগদান করেছিলেন এবং ৫ আগস্ট থেকে কিস্তি আদায়ের ধীরগতি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে, নভেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠানটি শুক্লার বেতন থেকে বকেয়া কিস্তির টাকা কেটে নেয়। এই ঘটনার পর থেকেই শুক্লা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং আত্মহত্যা করেন।

 

রিউমার স্ক্যানার জানিয়েছে :

শুক্লার আত্মহত্যার ঘটনাটি বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ড হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। তারা জনগণকে এই ধরনের ভুয়া খবর থেকে সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

সাম্প্রতিক ঘটনাটি:

সম্পর্কে “রিউমার স্ক্যানার” এর এই ফ্যাক্ট চেকিং প্রমাণ করে যে, আত্মহত্যার ঘটনা রাজনৈতিক কিংবা ধর্মীয় বিদ্বেষের কারণে ঘটেনি, বরং ঋণের কিস্তি আদায়ের চাপের কারণে শুক্লা দে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছেন।